রাজধানীতে এখন ৪ ক্যাটাগরির কলগার্ল!

৩:২৪ PM
1392016455_call_girl_3


রাজধানীর পতিতা নেটওয়ার্ক। পতিতারাও মানুষ। কলগার্লরা পতিতালয় নির্ভর নয়। তারা চলমান এবং অদৃশ্য। দেখা যায়, কিন্তু জানা যায় না। ঢাকার কলগার্ল বিজনেস খুবই সুসংগঠিত। এ পেশাটি যারা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাদের নেটওয়ার্কও শক্তিশালী। প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে এরা ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। অথচ প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। ঢাকার কলগার্লদের এই নেটওয়ার্কের একটা অংশ নিয়ন্ত্রণ করে ঢাকার এসকর্ট এজেন্সিগুলো (scort service)। আর বাকী অংশ নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বিচ্ছিন্ন কলগার্ল এজেন্টদের মাধ্যমে।এজেন্ট আর ক্লায়েন্টের সম্পর্কটা এখানে ত্রিভুজের মতো। ক্লায়েন্ট-কলগার্ল এবং এজেন্ট একটা সুক্ষ্ম সম্পর্কে আবদ্ধ। সমসত্ম লেনদেন হয় এজেন্টের মাধ্যমে। এজেন্ট তার নিজের কলগার্লদের এবং ক্লায়েন্টের ডিমান্ড সম্পর্কে সব সময় সচেতন থাকে। এজেন্ট টারমনোলজিতে ডিমান্ডের অর্থ হল কলগার্লটির ‘ভ্যালুয়েশন।’ অর্থাৎ কলগার্লের সৌন্দর্য, স্বাস্থ্য এবং গ্লামার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সংযোগের মোট মূল্য (শহুরে, মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত এবং সমাজের উঁচুতলার মানুষের সঙ্গে পরিচিত)। ‘এজেন্ট’ই অধিকাংশ সময় প্রোগ্রাম তৈরি করেন। ক্লায়েন্টের চাহিদা এবং টাকা খরচ করার ক্ষমতার উপর নির্ধারিত হয় প্রোগ্রাম কেমন হবে। একটা প্রোগ্রাম আয়োজনের ‘সময়’ এবং ‘স’স্থান’ সি’র হয় ক্লায়েন্ট এবং কলগার্ল উভয়ের সুবিধা মত। ঢাকার এক একজন এজেন্টের অধিনে শতাধিক কলগার্ল রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। আবার এই পেশায় অনেক দিন আছেন এমন কলগার্লরা নিজেই এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন- এমন উদাহরণও বিরল নয়। ঢাকার ধানমন্ডি, উত্তরা, গুলশান, বনানী, সেগুনবাগিচা এলাকায় ফ্লাট বাসা নিয়ে চলছে কলগার্ল বিজনেস। মডেল প্রোভাইডার হিসেবে পরিচিত অনেক প্রযোজক, পরিচালক এবং এক সময়ের নামি অভিনেত্রীরা এই কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন। সচারচর কোন কলগার্লের বয়স বেশি হয়ে গেলে বা চাহিদা কমে আসলে তারা তখন এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। কথা হয় ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট নিয়ে থাকেন এমন একজন কলগার্লের সাথে। মনিকা নামের এই কলগার্ল নিজেই এখন এজেন্ট। নিজের ফ্ল্যাটেই অফিস খুলে বসেছেন। তার আন্ডারেই রয়েছে ২০ জনেরও বেশি কলগার্ল। ঢাকার বেশ কয়েকটি নামি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন মেয়েও যে তার সাথে কাজ করনে -এ কথা জানান তিনি। মনিকা জানান, এরা কখনোই নিজে কোন ক্লায়েন্টের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে প্রোগ্রামে অংশ নেয় না। কারণ হিসেবে নিজেদের গোপনীয়তা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে এমনটি বলে জানান তিনি। এ প্রতিবেদক ইডেন এবং তিতুমীর কলেজে পড়ে এমন দু’জন কলগার্লের সাথে ফোনে ব্যক্তিগত যোগাযোগ করেন। তবে দু’জনই তাদের এই গোপন অভিসারের কথা অস্বীকার করেন। এদের একজনের সেলফোন নম্বর আবার ইন্টারনেটে নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে সংরক্ষিত আছে। ওয়েব পেজে তার পরিচিতিতে কলগার্ল কথাটির সাথে আবেদনময় আহ্বান রয়েছে। ওয়েব সাইটটিতে তার ছবিও আপলোড করা। ওয়েবে থাকা স্টিল ফটোগ্রাফটি নিজের বলে স্বীকার করলেও তিনি যে কলগার্ল ধরনের কিছু নন, তা বারবার বোঝাতে চেষ্টা করেন। এই প্রতিবেদক তাকে বাংলায় প্রশ্ন করলেও চটপটে ইংরেজিতে উত্তর দেন মেয়েটি। কলগার্ল না হলে সেলফোন বন্ধ করে দিচ্ছেন না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সন্তোষজনক কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি।এখানে এজেন্ট কলগার্ল সম্পর্কটা চমকে দেয়ার মতো। এজেন্টরা নিজেদের কলগার্লদের ব্যাপারে অনেক যতœশীল। ঢাকায় এই কলগার্লরা কখনও কখনও বাইরে গিয়েও প্রোগ্রাম করেন। ডিমান্ডেবল কলগার্লদের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। ওয়েব সাইট ঘেঁটে দেখা যায়, এসকর্ট এজেন্সিগুলো সারা বিশ্বে একটা নেটওয়ার্ক হয়ে কাজ করে। ফলে অনেক সময় কলগার্লদের দেশের বাইরে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
যেভাবে কলগার্ল :
উচ্চাঙ্ক্ষা পূরণ করার সবচেয়ে সহজ হাতিয়ার হলো কলগার্ল বনে যাওয়া! টেলিভিশন ও সিনেমার পরিচালক-প্রযোজকের লোভনীয় অভিনয়ের সুযোগ বাস্তবায়ন করতে, মডেল হওয়ার খায়েশ পূরণ করতে, সখের বসে এমনকি উচ্চবিত্ত গৃহবধূ একাকিত্ব দূর করতে তার বন্ধুর মাধ্যমে জড়িয়ে পড়ে এই ধরনের পেশায়। তবে শুধু টাকার অভাবে এই পেশায় নাম লিখিয়েছে এমনটি শোনা যায়নি। কলগার্ল সুমা (ছদ্ম নাম) জানান, তার স্বামীর অন্য সম্পর্ক ছিল। সে অনেক চেষ্টা করেও তাকে না ফেরাতে পেরে জিদের বসে নিজে এমন পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন। কলগার্লরা নেটওয়ার্কে ঢোকেন বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সিনেমা-টেলিভিশন পরিচালক-প্রযোজক, বিউটি পার্লার, ড্যান্স স্কুল এবং অন্যান্য লোকজনের মাধ্যমে। বাড়তি রোজগারের লোভে, ভাল ক্যারিয়ারের আশায়, কারোর কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে কিংবা স্বামীর অবহেলায় পাত্রী হয়ে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে, নামকরা মডেল বা অভিনেত্রী হওয়ার আশায় এই শহরে গোপনে গোপনে ‘কলগার্ল’ হয়েছেন অনেকেই। এই পেশায় সিনেমা-টেলিভিশনের অভিনেত্রী থেকে শুরু করে উঠতি গায়িকা, উচ্চাঙ্ক্ষী মডেল ছাড়াও আছেন মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত পরিবারের বিবাহিত-অবিবাহিত মেয়েরা। এদের অনেকেই আবার সমাজে পরিচিত। অর্থাৎ তারকা হিসেবে তাদের ফেসভ্যালু রয়েছে। এসব তারকাদের যে কোন প্রোগ্রাম আয়োজনে থাকে কঠোর গোপনীয়তা। আর এক্ষেত্রে অগ্রণ্য ভূমিকা পালন করে এজেন্ট কর্তৃপক্ষ। আর ক্লায়েন্টের তালিকায় আছেন মূলতঃ ব্যবসায়ীরা। বিদেশী ক্লায়েন্টদেরও মনোরঞ্জন করে থাকেন ঢাকার কলগার্লরা। যাদের কাঁচা টাকা ওড়াতে কোন বাধা নেই, কেবল তারাই কলগার্লদের নিয়ে মেতে ওঠেন কামনা-বাসনা চরিতার্থ করার এই জমকালো আয়োজনে। তবে সাধারণ মানুষও যে নেই, তাও নয়। তবে সে সংখ্যা একেবারেই হাতে গোণা।
কলগার্ল হওয়ার পাশাপাশি এদের অন্য একটা পরিচিতিও রয়েছে। সেই পরিচিতিই এদেরকে সমাজে আড়াল করে রাখে। কেউ স্টুডেন্ট, কেউ বিউটিশিয়ান, কেউ ম্যাসিউজ, কেউ প্রাইভেট টিউটর, কেউ বুটিক চালান, কেউ অভিনেত্রী। আছেন গৃহবধূরাও। এরা যেন চেনামুখের আড়ালে অচেনাজন।
যারা ঢাকার কলগার্ল :
* এরা কোনও নির্দিষ্ট পতিতালয় নির্ভর নন।
* এরা চলমান মহিলা যৌনকর্মী। একা বা কোন এজেন্ট দ্বারা নিজেদের পরিচালিত করেন।
* প্রত্যেকটি প্রোগ্রাম (যৌনকর্ম) আয়োজনে থাকে গভীর গোপনীয়তা।সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই কিংবা তিনটি প্রোগ্রামে অংশ নেন একজন কলগার্ল।
* প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ হোটেল, রিসর্ট, প্রাইভেট ফ্ল্যাট ও ম্যাসেজ পার্লারে।
* এরা সকলেই শিক্ষিত এবং বাংলা-ইংরেজিতে পারদর্শী। এছাড়াও কেউ কেউ হিন্দিতেও অনর্গল কথা বলতে পারেন।
* এদের বেশিরভাগ উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য। উচ্চাভিলাসী মধ্যবিত্তের সংখ্যাও কম নয়। বাইরের থেকে দেখে কোনভাবেই বোঝা যাবে না এরা কলগার্ল।
* বেশিরভাগই এ পেশার বাইরেও অন্য কাজ করে থাকেন, যেখান থেকে আয়-রোজগারও যথেষ্ট।
কাদের ডিমান্ড এখানে :images
জানা যায়, ক্লায়েন্টদের কাছে কম বয়সী স্কুল এবং কলেজের মেয়েদের চাহিদা বেশি। ফলে এই সব এসকর্ট এজেন্সিগুলোর নজর থাকে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের সাথে সাথে স্বনাম ধন্য ঢাকার স্কুল কলেজগুলোর দিকে। এসকর্ট এজেন্টগুলো বিভিন্নভাবে ফাঁদ পেতে স্কুল-কলেজের মেয়েদের কৌশলে কলগার্লের খাতায় নাম লেখিয়ে নিচ্ছে। অর্থের লোভ দেখিয়ে নতুন নতুন মেয়েদের নেটওয়ার্কে নিয়ে আসতে পারঙ্গম এরা। তবে এরা পতিতালয়ের তথাকথিত ‘পিম্প’ বা দালালদের মতো নয়।
এসকর্ট এজেন্সি এবং কলগার্ল :
ঢাকার এসকর্ট এবং কলগার্ল এখন একে অপরের পরিপূরক শব্দ। বৈধতার সনদ দেখিয়ে এরা প্রকাশ্যে কলগার্ল বিজনেস চালিয়ে যাচ্ছে। ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে কলগার্ল বিষয়ে যাবতীয় তথ্য, ছবি এবং কলগার্লের রেট দিয়ে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য অনলাইনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দেশের বাইরে থেকেও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কলগার্ল বুকিং দেয়া যায়। ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে- এসব ওয়েব সাইটে তরুণীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের কথা বলে নতুন নতুন কলগার্ল হওয়ার জন্য আহ্বান রয়েছে। সেই সাথে ক্লায়েন্ট এবং কলগার্লদের জন্য যাবতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখার কথা ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ঢাকার এসকর্ট এজেন্সিগুলোর প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব কলগার্ল ডেটাবেজ। ছবিসহ এসব ডেটাবেজে গ্রাহক হওয়ার মাধ্যমে প্রবেশ করা যায়। আবার সব কলগার্লের ছবি ওয়েবে থাকে না। কারণ স্টার কিংবা সেলিব্রেটি কলগার্লরা ওতটা প্রকাশ্যে প্রচার হতে রাজী হয় না। চাহিদা মতো এসকর্টের কলগার্ল পেতে কায়েন্টকে বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হয়। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে- এসকর্ট এজেন্সিকে ক্লায়েন্টের পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর প্রদান, যোগাযোগের জন্য একটা কন্ট্যাক্ট নম্বর (মোবাইল/টেলিফোন), কোন হোটেলে এসকর্ট আয়োজন করতে চাইলে তা কমপক্ষে থ্রিস্টার হোটেল হতে হয় এবং ফ্লাটের ক্ষেত্রেও হতে হয় মানসম্মত। ওয়েব সাইট থেকে জানা যায়, ঢাকা এসকর্ট এজেন্সি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। ঢাকা ভিত্তিক এইভাবে উন্মুক্ত কলগার্ল ব্যবসাকে বৈধ বলে দাবি করেন এসকর্ট কর্তৃপক্ষ। ঢাকা এসকর্টের আজাদ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কলগার্লের এই বিজনেস প্রফেশনালি বৈধভাবে করে থাকেন তারা। আর এ প্রতিবেদক নিজেকে একজন ক্লায়েন্ট হিসেবে পরিচয় দিলে তাদের বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে মেইল করেন। আলোচনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কলগার্লদের রেট যৎসামান্য কমতে পারে বলেও তিনি জানান। ঢাকা এসকর্টের ওয়েব সাইটে দেখা যায়, ফেডারেল লেবেয়িং এন্ড রেকর্ড কিপিং ল’ (১৮ ইউএসসি ২২৫৭) অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম বৈধ এবং কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত। একাধিক আইনজীবীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই আইনের দোহাই দিয়ে যৌন ব্যবসা বৈধ করার কোন সুযোগ নেই। এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসকর্ট এজেন্সি খুলে কলগার্ল ব্যবসা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ গুলশান জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কোনভাবেই যৌন ব্যবসা বৈধ হতে পারে না। উল্লেখিত আইনের কথাও এর আগে শোনেননি বলে জানান তিনি। আর ওয়েব সাইটের মাধ্যমে একেবারে প্রকাশ্যে এই ধরনের যৌনব্যবসা চলছে শুনে তিনি বিস্মিত হন।
কলগার্ল হতে ইচ্ছুক :
এসকর্ট এজেন্সিগুলো কলগার্ল হতে ইচ্ছুকদের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আহ্বান জানায়। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সুন্দরী মেয়ে, গৃহিনী এবং কম বয়সী তরুণীদের লোভনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে আকৃষ্ট করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ এবং কম বয়সে লাখপতি হওয়ার সুযোগ। এ রকম নানা প্রলোভনে কলগার্ল হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে থাকে এসব এসকর্ট এজেন্সিগুলো। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরাসরি এজেন্টরা নতুন কলগার্ল নিতে ডিল করে না। মাধ্যম হিসেবে তৃতীয় একটি পক্ষকে ব্যবহার করে থাকে। ফলে কেউ কলগার্লের খাতায় নাম লেখালে সেক্ষেত্রে এজেন্সিকে দায়ী করা যায় না।
xhghg.thumbnail.jpg.pagespeedরেট :
সাধারণত ৪ ক্যাটাগরির কলগার্ল পাওয়া যায়। বয়স, ফিগার এবং ইন্টেলেকচুয়াল-এর ওপর ভিত্তি করে ক্যাটাগরি নির্ধরণ করা হয়। এলিট ‘এ’, এলিট ‘বি’, প্রিমিয়াম ‘এ’ এবং প্রিমিয়াম ‘বি’। ক্যাটাগরি অনুযায়ী কলগার্লদের পেতে টাকা খরচের অঙ্কেও পরিবর্তন আসে। এলিট ক্যাটাগরির কলগার্লদের স্বল্প সময়ের জন্য বুকিং দেয়া যায় না। প্রিমিয়ার ক্যাটাগরির কলগার্লদের আধা ঘণ্টার জন্য বুকিং দিলে কমপক্ষে ৪০ ডলার গুনতে হয়। আর এলিট শ্রেণীর সর্বনিম্ন রেট ২০০ ডলার (প্রতিঘণ্টা)। তবে সময় বাড়লে রেটে কিছুটা তারতম্য হয়। পুরো রাতের জন্য এ লেবেলের এলিট কলগার্লদের রেট ৮০০ থেকে ১০০০ ডলার। প্রতি তিন সপ্তাহ অন্তর কলগার্লদের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়। ফলে কলগার্লদের সংস্পর্শে ক্লায়েন্টদের কোন প্রকার যৌনবাহিত রোগ হবে না বলেও নিশ্চয়তা দেয় এজেন্টরা। পছন্দের কলগার্লকে নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ারও সুযোগ রয়েছে। হিল ট্রাক্টস্, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার এমনকি দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর সেক্ষেত্রে দরকার শুধু টাকা। এলিট কলগার্লদের প্রায় সকলেরই পাসপোর্ট রয়েছে। পছন্দসই এসকর্ট অর্ডার দেয়ার পর ঢাকা হলে এসকর্ট আয়োজনে সময় লাগবে সর্বোচ্চ একঘণ্টা। সিলেট, চট্টগ্রাম ১২ ঘণ্টা এবং দেশের বাইরে তিনদিন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের নতুন, পুরানো অনেক মডেল, টেলিভিশন ও সিনেমার বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী এমনকি প্রাইভেট চ্যানেলের সংবাদ পাঠিকাও কলগার্লের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। তবে এদের রেট প্রচলিত রেটের চেয়ে অনেক বেশি। এদের সাথে প্রোগ্রাম কিংবা এসকর্টে অংশ নিতে হলে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়। অগ্রিম টাকা নেয়া হয় না। সে ক্ষেত্রে নতুন ক্লায়েন্ট হলেও প্রতারিত হওয়ার ভয় থাকে না বললেই চলে। কলগার্ল অর্ডার দেয়ার পর তাকে দেখে পছন্দ না হলে অর্ডার বাতিল করা যায়। বিভিন্ন দেশের প্রচলিত মুদ্রায় বিল পরিশোধ করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে টাকার সাথে সাথে ডলার, পাউন্ড এবং ইউরোকেই অগ্রাধিকার দেয়া হয়। প্রাইভেসির জন্য শুধুমাত্র নগদ ক্যাশে বিল দিতে হয়। চেক কিংবা ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড গ্রহণযোগ্য নয়।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »