সিলেটে প্রশাসনের সামনেই চলছে আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যাবসা (ভিডিও)

৫:১৪ PM
দেহ বেবশা ফটো এর চিত্র ফলাফল
বিশেষ প্রতিনিধি:  খারাপ নারীতেই সর্বনাশ। আর এই সর্বনাশা খেলা চলছে এখন সিলেট শহরের বেশ কিছু আবাসিক হোটেলে। প্রশাসনের চোখের সামনেই এসব ব্যবসা চললেও প্রশাসন রয়েছে নিরব। সিলেট নগরীর লালবাজার, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, কদমতলী, আম্বরখানা এলাকার অসংখ্য আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রতিদিনই চলে নারীদের দেহ খেলা। আর এসব ব্যবসাকে ঘিরে প্রশাসনের এক শ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। পাশাপাশি সহজ সরল মেয়েদের দেহ ব্যাবসায় বাধ্য করানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে। তবে এসব ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ হোটেলের কর্মকর্তা কর্মচারী। দেহ ব্যাবসায় জড়িত কয়েকজন মেয়ের কাছ থেকে জানা যায়, তাদের জীবনের করুণ কাহিনী। এদের অনেকেই জানান, অভাবের তাড়নায় তারা এসেছেন এই পেশায়। আবার অনেকে নিজের অজান্তেই জড়িয়ে পরেছেন এসব কাজে। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, হোটেল কর্মকর্তা আর দালালরা তাদের এমন ভাবে ব্যবহার করেছে তারা এখন আর এই পেশা ছাড়তে পারবেন না। সিলেট নগরীতে প্রায় ৩০/৪০টির মতো আবাসিক হোটেল রয়েছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই চলছে এসব হোটেলে দেহ ব্যাবসা। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, এসব হোটেল থেকে প্রতিমাসে থানা পুলিশ পাচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এছাড়াও স্থানীয় ক্ষমতাসীনরাও পেয়ে থাকেন সাপ্তাহিক, মাসিক চাদা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান আবাসিক হোটেল মালিকরা মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে থাকেন। টাকা দিয়েই প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব চললেও প্রশাসন রয়েছে নিরব। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো দু’একটি অভিযান চালানো হলেও তা আই ওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়। শূধু এসব হোটেল নয় নগরীর উচ্চ লেভেলের হোটেল এবং গেস্ট হাউস গুলোতেও চলছে সমান তালে দেহ ব্যবসা। যৌনকর্মীরা জানায়, আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার ও বয়-বেয়ারা নির্দিষ্ট কমিশনের ভিত্তিতে খদ্দের যোগাড় করে দেয়। পেশাদার যৌনকর্মীরা অবশ্য নিজেরাই কার্ড বিলি করে। এসব কার্ডে সাধারণত মধ্যস্থতাকারীর মোবাইল নম্বর থাকে। পার্ক, রেষ্টুরেন্ট, আবাসিক এলাকায় রয়েছে উচ্চ লেভেলের যৌনকর্মীদের আনাগুনা। তাদের আরেকটি কৌশল হলো বিভিন্ন কোম্পানীর পন্য বিক্রির নামে ভিজিটিং কার্ড বিতরণ। নগরীর জিন্দাবাজার, উপশহর, শিবগঞ্জ, কদমতলী, আম্বরখানা, মোটেল এলাকায় এসব ততপরতা বেশি। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রত্যেকটি আবাসিক হোটেল ও মোটেলের সামনে প্রতিদিন অবস্থান করে দালাল চক্র। টার্গেট করা পথচারীর তারা ধরিয়ে দেয় ভিজিটিং কার্ড। আর এভাবেই খদ্দেররা পৌছে যায় যৌনকর্মীদের কাছে। এই বিষয়ে স্হানীয় জনসাধারনের অভিযোগ। এসব অপকর্মের বিরোদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওযা না হলে সিলেট নগরী বড় ধরনের সামাজিক অবক্ষয়ের মুখে পড়তে পারে।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »