কুমিল্লায় সিনেমা হলে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা!

৫:৩৭ PM
বাংলা কল গার্ল এর চিত্র ফলাফল
কুমিল্লার কয়েকটি উপজেলায় সিনেমা হলে চলছে অবাধে দেহ ব্যবসা। এসব সিনেমা হলে বাংলা এবং ইংরেজি ছবি প্রদর্শনের নামে রমরমা দেহ ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হলে সিনেমা দেখার নামে উঠতি বয়সের স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে মিলিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও হলগুলোতে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীর পাশাপাশি রাজধানী ঢাকা থেকে ভাসমান পেশাদার পতিতারাও নিয়মিত এসে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে এলাকার যুবসমাজকে বিনষ্ট করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে কয়েকটি হল এখনও বাংলা ছবি প্রদর্শনের জন্য দর্শকদের হলের দিকে আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও আকাশ সংস্কৃতির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলার দাউদকান্দি, বুড়িচং, চান্দিনা, মুরাদনগরের বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে অবাধে চলছে দেহ ব্যবসা। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চললেও রাজনৈতিক প্রভাবসহ নানাবিধ কারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না প্রশাসন। এমনকি জেলার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে পূর্ণিমা সিনেমা এবং গাজীরহাট স্বপ্না সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরাসরি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পতিতা এনে দেহ ব্যবসার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে পূর্ণিমা সিনেমা হলের মালিক এবং পরিচালকরা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে দেহ ব্যবসা। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং প্রবাসীদের স্ত্রীদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। দিনের বেলায় এসব ছাত্রছাত্রীরা হরহামেশা হলে ছবি দেখার নামে প্রবেশ করে যৌনকর্ম করলেও সন্ধ্যা হওয়ার আগেই তারা হল ত্যাগ করেন। পরে সন্ধ্যার পর থেকে রাতে চলে পেশাদার পতিতাদের কর্মকাণ্ড। এমনি বেশকিছু অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানীগঞ্জ পূর্ণিমা সিনেমা হলে অভিযান চালায় মুরাদনগর ইউএনও মনসুর উদ্দিন আহাম্মদ। তবে তিনি থানা পুলিশ নিয়ে এ হলে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করেও এসব পতিতা কিংবা যৌনকর্মীদের আটক করতে পারেনি। এ বিষয়ে সিনেমা হলের মালিক শহিদুল ইসলাম পূর্ণিমা সিনেমা হলের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসার আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার হলে শুধু বাংলা সিনেমা প্রদর্শন করা হয়। তিনি বলেন, এলাকার একটি মাদক বিক্রেতা সিন্ডিকেট আমার সিনেমা হলের অভ্যন্তরে ইয়াবাসহ মাদক বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়েই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পূর্ণিমা সিনেমা হলে দেহ ব্যবসা চলে এমন খবর আমার কাছে এলে আমি সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে কাউকে পাইনি। তিনি বলেন, ওই হলসহ উপজেলার ৩টি সিনেমা হলের দিকেই আমাদের কঠোর দৃষ্টি আছে, কেউ কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। - See more at: http://www.jugantor.com/bangla-face/2015/08/26/313841#sthash.oEVGWYQb.dpuf

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »