নায়িকারা কেন যৌনকর্মী নয়?

১২:২৫ PM
রাখিকে চুমু খেয়ে বেঁচেছিলেন, এবার চড় মেরে জেলে। (ভিডিও সহ)
নায়িকারা কেন যৌনকর্মী নয়? এমন প্রশ্ন উঠেছে স্বয়ং যৌনকর্মীদের পক্ষ থেকেই। অল ইন্ডিয়া নেটওয়ার্ক অব সেক্স ওয়ার্কার্স এর পক্ষ থেকে সম্প্রতি যৌনকর্মীরা এমন প্রশ্নই ছুঁড়ে দিয়েছেন বিশ্বের দিকে। যৌনকর্মীদেরই প্রশ্ন, সিনেমার নায়িকা হওয়ার জন্যেও তো বিক্রি করতে হয় শরীর। সেক্ষেত্রে, যিনি শরীর বিক্রি করলেন, তাঁকে তো যৌনকর্মী বলা হয় না? তাঁর পরিচয় প্রদানেও তো কোনও অসম্মান অথবা রুচিহীন শব্দ ব্যবহার করা হয় না? তা হলে, শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য শরীরের বিনিময়ে উপার্জনের ক্ষেত্রে কেন যৌনকর্মী পরিচয় পেতে হবে?

শরীর ইস্যুতে এর চেয়ে কঠিন প্রশ্ন আর হয়না। সত্যিই এক নির্মম সত্যির দিকে ঠেলে দিয়েছে প্রশ্নটি। শরীরের বিনিময়ে নায়িকা হওয়ার বিষয়টি খুব প্রচল একটি গোপন সত্য হিসেবে বাংলাদেশেও প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। কথিত আছে অধিকাংশ নায়িকাকেই শরীর বিসর্জন দিতে হয় পরিচালক প্রযোজক কিংবা প্রভাবশালীদের কাছে। এর বিনিময়ে তারা সিনেমায় নাটকে কাজের সুযোগ পান এবং সমাজে তারকাখ্যাতি অর্জন করে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন।
যৌনকর্মীদের প্রশ্নটিকে সেক্ষেত্রে উড়িয়ে দেয়া কেন? নায়িকা পরিচয় নিয়ে তারকাখ্যাতি নিয়ে যৌনআবেদন ছড়িয়ে তারাতো সুখেই আছেন। তাহলে তা হলে, শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য শরীরের বিনিময়ে উপার্জনের ক্ষেত্রে কেন যৌনকর্মী পরিচয় পেতে হবে? কোনও কোনও ক্ষেত্রে যৌনকর্মীদের পরিচয়ে কেন ব্যবহৃত হবে রুচিহীন শব্দ (সাধারণত, যা লেখার অযোগ্য)? সম্মানের সঙ্গে নিজেদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে এবার এমনই প্রশ্ন তুলে দিলেন যৌনকর্মীরা।
আগের তুলনায় সচেতনতা বেড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বদল ঘটছে ধ্যান-ধারণায়ও। বদল ঘটছে যৌনতা আর যৌনসুখের রকম-ধরনের ক্ষেত্রেও। তা সত্ত্বেও, সমাজের বিভিন্ন অংশে এখনও যৌনকর্মীদের প্রতি নানা রকমের মনোভাবও প্রকাশ পায়। অথচ, ওই আদিম সুখের জন্যই আবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৌতূহলও কম নেই। যৌনসুখের বিনিময়ে উপার্জনের বিষয়টি যাতে আইনসিদ্ধ হয়, তার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে যৌনকর্মীদের আন্দোলন চলছে।
ওই আন্দোলনে ক্রমে শামিল হচ্ছেন দেশটির বিভিন্ন প্রান্তের যৌনকর্মীরা। আগামী দিনে এককাট্টা হয়ে জোরদার আন্দোলনের পথেও যাচ্ছেন তাঁরা। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে যৌনকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন। অধিকার আদায়ের ওই আন্দোলনে যাতে প্রতিটি সংগঠনকে এককাট্টা করা যায়, তার প্রচেষ্টাও চলছে। আর, ওই প্রচেষ্টারই অঙ্গ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের যৌনকর্মীদের অন্যতম সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে গঠিত হয়েছে অল ইন্ডিয়া নেটওয়ার্ক অফ সেক্স ওয়ার্কার্স (এআইএনএসডব্লু)।
গত চার এবং পাঁচ জুন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে জাতীয় স্তরের ওই সংগঠন এআইএনএসডব্লু-র দু’দিনের সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের যৌনকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। যৌনপেশার বিভিন্ন সমস্যাকে কেন্দ্র করে বিস্তারিত আলোচনাও করেন তাঁরা। তবে, যৌনকর্মীদের সঙ্গে সিনেমার নায়িকাদের একাংশকে তুলনা করে প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে যে যৌনকর্মীরা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ, তাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এআইএনএসডব্লু-র নতুন কমিটির যুগ্ম সচিব তথা বিহারের পূর্ণিয়ার যৌনকর্মীদের সংগঠন অম্রপালি কল্যাণ সমিতির সচিব রেখা রানি বলেন, ফিল্মের নায়িকা হওয়ার জন্যেও তো শরীর বিক্রি করতে হয়। যাঁরা শরীর বিক্রি করে নায়িকা হন, তাঁদের তো সেক্স ওয়ার্কার বলা হয় না? অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, যৌনকর্মীদের পরিচয় দেওয়ার জন্য কোনও কোনও ক্ষেত্রে এমন শব্দ ব্যবহার করা হয়, যে শব্দ ওই নায়িকাদের জন্য তো ব্যবহৃত হয় না?
রেখা রানি বলেন, শরীরের বিনিময়ে নায়িকা হওয়াও তো সেক্স ওয়ার্কারের মতো কাজ। আমরাও তো সেক্স করে উপার্জন করি। তা হলে, আমাদের ক্ষেত্রে কেন অন্য রকমের আচরণ করা হবে? নায়িকা হওয়ার জন্য সেক্স করতে হয়, আর আমরাও পেট চালাতে সেক্স করি। দুই ক্ষেত্রই তো একই রকমের। তা হলে কেন আমাদের প্রতি অন্য রকমের ব্যবহার করা হবে?
এআইএনএসডব্লু-র নতুন ওই যুগ্ম সচিব ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমরা তো সেক্সের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের দিল খুশি করে। সেক্স বন্ধ করে দিক সরকার, তা হলে আমাদের পেশাও বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটা করতে পারবে সরকার? তা হলে করে দেখাক, দেশ থেকে সেক্স বন্ধ করে দিক।
মহারাষ্ট্রের নাসিকের যৌনকর্মীদের সংগঠন দিশা মহিলা বহুউদ্দেশীয় সংগঠনের সচিব তথা এআইএনএসডব্লু-র অপর যুগ্ম সচিব লতা কাপসে বলেন, আমার শরীর। এই শরীরে আমার অধিকার রয়েছে। তাই, আমার শরীরের বিনিময়ে যদি আমি উপার্জন করি, তা হলে কার কী সমস্যা রয়েছে? তিনিও ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, শরীর বিক্রি করে নায়িকা হলেও সেক্ষেত্রে সেক্স ওয়ার্কার বলা হয় না। আর, আমরা শরীরের বিনিময়ে বেঁচে থাকলেও আমাদের সেক্স ওয়ার্কার বলা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের অসম্মানিত করা হয়। নাসিকের যৌনকর্মীদের ওই সংগঠনের নুরজাহান শেখ বলেন, আদিবাসীরাও মানুষ। তা হলে আমরা মানুষ নই কেন? যৌনকর্মীদের প্রতি এখনও কেন অন্য রকমের আচরণ করা হয়? দ্য ইমমরাল ট্রাফিক (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট অর্থাৎ, আইটিপিএ-র বিলোপ চাইছেন এ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যৌনকর্মীরা। অধিকার আদায়ের ওই আন্দোলনে দিল্লির দরবারে আগামী দিনে তাঁরা নায়িকাদের প্রসঙ্গ তুলে ধরবেন বলেও জানিয়েছেন লতা কাপসে।
এতো গেলো ভারতের কথা। বাংলাদেশেও যদি যৌনকর্মীরা এমন দাবি করে বসেন? এইতো কিছুদিন আগে চিত্রনায়িকা অমৃতা খান হাতে নাতে প্রমাণসহ জনপ্রিয় নির্মাতা পিএ কাজলের বিরুদ্ধে নায়িকা হওয়ার বিনিময়ে শরীর চেয়ে বসেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। নতুন নায়িকা হতে আসা এমন অনেকের কাছেই এমন অভিযোগ শোন যায়। এমনও শোনা যায়, অনেকেই এমন পরিস্থিতি মেনে নিয়েই পর্দায় নায়িকা হিসেবে, অভিনেত্রী হিসেবে তারকাখ্যাতি অর্জন করেছেন। সেসব কথা অনেকেরই জানা। কিন্তু মুখ খুললেই সর্বনাশ!
তাই মুখ খুলছে না কেউই। সিনেমা ব্যাবসার অন্তরালে নারীদের এমনভাবেই ব্যবহার করছে পুরুষ। যৌনকর্মীদেরও তাই। সমাজে যৌনকর্মীরা যদি হেয় প্রতিপন্ন হন শরীর আর যৌনতা বিক্রির জন্য নায়িকারা কেন না?
এমন প্রশ্নের উত্তর কি দেবেন কেউ?যৌনতা বিক্রির জন্য নায়িকারা কেন যৌনকর্মী নয়?
বিনোদন ডেস্ক, প্রাইমনিউজ.কম.বিডি
ঢাকা : নায়িকারা কেন যৌনকর্মী নয়? এমন প্রশ্ন উঠেছে স্বয়ং যৌনকর্মীদের পক্ষ থেকেই। অল ইন্ডিয়া নেটওয়ার্ক অব সেক্স ওয়ার্কার্স এর পক্ষ থেকে সম্প্রতি যৌনকর্মীরা এমন প্রশ্নই ছুঁড়ে দিয়েছেন বিশ্বের দিকে। যৌনকর্মীদেরই প্রশ্ন, সিনেমার নায়িকা হওয়ার জন্যেও তো বিক্রি করতে হয় শরীর। সেক্ষেত্রে, যিনি শরীর বিক্রি করলেন, তাঁকে তো যৌনকর্মী বলা হয় না? তাঁর পরিচয় প্রদানেও তো কোনও অসম্মান অথবা রুচিহীন শব্দ ব্যবহার করা হয় না? তা হলে, শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য শরীরের বিনিময়ে উপার্জনের ক্ষেত্রে কেন যৌনকর্মী পরিচয় পেতে হবে?
শরীর ইস্যুতে এর চেয়ে কঠিন প্রশ্ন আর হয়না। সত্যিই এক নির্মম সত্যির দিকে ঠেলে দিয়েছে প্রশ্নটি। শরীরের বিনিময়ে নায়িকা হওয়ার বিষয়টি খুব প্রচল একটি গোপন সত্য হিসেবে বাংলাদেশেও প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। কথিত আছে অধিকাংশ নায়িকাকেই শরীর বিসর্জন দিতে হয় পরিচালক প্রযোজক কিংবা প্রভাবশালীদের কাছে। এর বিনিময়ে তারা সিনেমায় নাটকে কাজের সুযোগ পান এবং সমাজে তারকাখ্যাতি অর্জন করে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন।
যৌনকর্মীদের প্রশ্নটিকে সেক্ষেত্রে উড়িয়ে দেয়া কেন? নায়িকা পরিচয় নিয়ে তারকাখ্যাতি নিয়ে যৌনআবেদন ছড়িয়ে তারাতো সুখেই আছেন। তাহলে তা হলে, শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য শরীরের বিনিময়ে উপার্জনের ক্ষেত্রে কেন যৌনকর্মী পরিচয় পেতে হবে? কোনও কোনও ক্ষেত্রে যৌনকর্মীদের পরিচয়ে কেন ব্যবহৃত হবে রুচিহীন শব্দ (সাধারণত, যা লেখার অযোগ্য)? সম্মানের সঙ্গে নিজেদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে এবার এমনই প্রশ্ন তুলে দিলেন যৌনকর্মীরা।
আগের তুলনায় সচেতনতা বেড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বদল ঘটছে ধ্যান-ধারণায়ও। বদল ঘটছে যৌনতা আর যৌনসুখের রকম-ধরনের ক্ষেত্রেও। তা সত্ত্বেও, সমাজের বিভিন্ন অংশে এখনও যৌনকর্মীদের প্রতি নানা রকমের মনোভাবও প্রকাশ পায়। অথচ, ওই আদিম সুখের জন্যই আবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৌতূহলও কম নেই। যৌনসুখের বিনিময়ে উপার্জনের বিষয়টি যাতে আইনসিদ্ধ হয়, তার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে যৌনকর্মীদের আন্দোলন চলছে।
ওই আন্দোলনে ক্রমে শামিল হচ্ছেন দেশটির বিভিন্ন প্রান্তের যৌনকর্মীরা। আগামী দিনে এককাট্টা হয়ে জোরদার আন্দোলনের পথেও যাচ্ছেন তাঁরা। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে যৌনকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন। অধিকার আদায়ের ওই আন্দোলনে যাতে প্রতিটি সংগঠনকে এককাট্টা করা যায়, তার প্রচেষ্টাও চলছে। আর, ওই প্রচেষ্টারই অঙ্গ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের যৌনকর্মীদের অন্যতম সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে গঠিত হয়েছে অল ইন্ডিয়া নেটওয়ার্ক অফ সেক্স ওয়ার্কার্স (এআইএনএসডব্লু)।
গত চার এবং পাঁচ জুন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে জাতীয় স্তরের ওই সংগঠন এআইএনএসডব্লু-র দু’দিনের সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের যৌনকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। যৌনপেশার বিভিন্ন সমস্যাকে কেন্দ্র করে বিস্তারিত আলোচনাও করেন তাঁরা। তবে, যৌনকর্মীদের সঙ্গে সিনেমার নায়িকাদের একাংশকে তুলনা করে প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে যে যৌনকর্মীরা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ, তাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এআইএনএসডব্লু-র নতুন কমিটির যুগ্ম সচিব তথা বিহারের পূর্ণিয়ার যৌনকর্মীদের সংগঠন অম্রপালি কল্যাণ সমিতির সচিব রেখা রানি বলেন, ফিল্মের নায়িকা হওয়ার জন্যেও তো শরীর বিক্রি করতে হয়। যাঁরা শরীর বিক্রি করে নায়িকা হন, তাঁদের তো সেক্স ওয়ার্কার বলা হয় না? অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, যৌনকর্মীদের পরিচয় দেওয়ার জন্য কোনও কোনও ক্ষেত্রে এমন শব্দ ব্যবহার করা হয়, যে শব্দ ওই নায়িকাদের জন্য তো ব্যবহৃত হয় না?
রেখা রানি বলেন, শরীরের বিনিময়ে নায়িকা হওয়াও তো সেক্স ওয়ার্কারের মতো কাজ। আমরাও তো সেক্স করে উপার্জন করি। তা হলে, আমাদের ক্ষেত্রে কেন অন্য রকমের আচরণ করা হবে? নায়িকা হওয়ার জন্য সেক্স করতে হয়, আর আমরাও পেট চালাতে সেক্স করি। দুই ক্ষেত্রই তো একই রকমের। তা হলে কেন আমাদের প্রতি অন্য রকমের ব্যবহার করা হবে?
এআইএনএসডব্লু-র নতুন ওই যুগ্ম সচিব ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমরা তো সেক্সের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের দিল খুশি করে। সেক্স বন্ধ করে দিক সরকার, তা হলে আমাদের পেশাও বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটা করতে পারবে সরকার? তা হলে করে দেখাক, দেশ থেকে সেক্স বন্ধ করে দিক।
মহারাষ্ট্রের নাসিকের যৌনকর্মীদের সংগঠন দিশা মহিলা বহুউদ্দেশীয় সংগঠনের সচিব তথা এআইএনএসডব্লু-র অপর যুগ্ম সচিব লতা কাপসে বলেন, আমার শরীর। এই শরীরে আমার অধিকার রয়েছে। তাই, আমার শরীরের বিনিময়ে যদি আমি উপার্জন করি, তা হলে কার কী সমস্যা রয়েছে? তিনিও ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, শরীর বিক্রি করে নায়িকা হলেও সেক্ষেত্রে সেক্স ওয়ার্কার বলা হয় না। আর, আমরা শরীরের বিনিময়ে বেঁচে থাকলেও আমাদের সেক্স ওয়ার্কার বলা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের অসম্মানিত করা হয়। নাসিকের যৌনকর্মীদের ওই সংগঠনের নুরজাহান শেখ বলেন, আদিবাসীরাও মানুষ। তা হলে আমরা মানুষ নই কেন? যৌনকর্মীদের প্রতি এখনও কেন অন্য রকমের আচরণ করা হয়? দ্য ইমমরাল ট্রাফিক (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট অর্থাৎ, আইটিপিএ-র বিলোপ চাইছেন এ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের যৌনকর্মীরা। অধিকার আদায়ের ওই আন্দোলনে দিল্লির দরবারে আগামী দিনে তাঁরা নায়িকাদের প্রসঙ্গ তুলে ধরবেন বলেও জানিয়েছেন লতা কাপসে।
এতো গেলো ভারতের কথা। বাংলাদেশেও যদি যৌনকর্মীরা এমন দাবি করে বসেন? এইতো কিছুদিন আগে চিত্রনায়িকা অমৃতা খান হাতে নাতে প্রমাণসহ জনপ্রিয় নির্মাতা পিএ কাজলের বিরুদ্ধে নায়িকা হওয়ার বিনিময়ে শরীর চেয়ে বসেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। নতুন নায়িকা হতে আসা এমন অনেকের কাছেই এমন অভিযোগ শোন যায়। এমনও শোনা যায়, অনেকেই এমন পরিস্থিতি মেনে নিয়েই পর্দায় নায়িকা হিসেবে, অভিনেত্রী হিসেবে তারকাখ্যাতি অর্জন করেছেন। সেসব কথা অনেকেরই জানা। কিন্তু মুখ খুললেই সর্বনাশ!
তাই মুখ খুলছে না কেউই। সিনেমা ব্যাবসার অন্তরালে নারীদের এমনভাবেই ব্যবহার করছে পুরুষ। যৌনকর্মীদেরও তাই। সমাজে যৌনকর্মীরা যদি হেয় প্রতিপন্ন হন শরীর আর যৌনতা বিক্রির জন্য নায়িকারা কেন না?
এমন প্রশ্নের উত্তর কি দেবেন কেউ?

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »